রাজশাহীর তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সুস্থ মানুষকে ভুয়া প্রতিবন্ধী সাজিয়ে সরকারি ভাতা আত্মসাতের ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে। বাধাইড় ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি এবং ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য (মেম্বার) পলি আক্তার এই দুর্নীতি করেছেন। কিন্তু অভিযোগ করার প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন এখানো তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
প্রসঙ্গত,স্থানীয় বাসিন্দা সাদিউর রহমান বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে,ইউপি সদস্য (মেম্বার) জাহাঙ্গীর আলম নিজের সুস্থ পিতা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম ও স্ত্রী পলি আক্তারকে প্রতিবন্ধী দেখিয়ে প্রতিন্ধী ভাতা কার্ড করেছেন। এছাড়াও ওয়ার্ডের আরো প্রায় ২০ জন সুস্থ মানুষকে একইভাবে প্রতিবন্ধীর ভুয়া সনদ দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ,এসব কার্ড করে দিতে প্রত্যেকের কাছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এমনকি একজন প্রকৃত শারীরিক প্রতিবন্ধী দরিদ্র ব্যক্তি সুশীলের কাছ থেকেও ৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। তবে তিনি ৪ হাজার টাকা দেওয়ার পরেও প্রতিবন্ধী সনদ পাননি। অথচ সুস্থ-সবল ব্যক্তিরা নিয়মিত প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগ করছেন।
এদিকে অভিযোগ করার দীর্ঘ প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে এখানো তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, “এমন জঘন্য দুর্নীতির প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও কেন প্রশাসন এখনো নীরব ? তবে কি তদন্ত না করে ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিতে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে,প্রকৃত অক্ষম প্রতিবন্ধী জনগণের প্রাপ্য সুবিধা ছিনিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। তাদের দাবি নতুনভাবে ইস্যু করা সব ভুয়া প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল,আত্মসাতের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা ও এই দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী পলি আক্তার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তারা কোনো ঘুষ নেননি সব নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে।তারা বলেন,প্রতিবন্ধী নির্বাচন করেন ডাক্তার ও সমাজসেবা কর্মকর্তা, তাই এই দায় তাদের।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন খাঁন বলেন, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)লিয়াকত সালমান ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#
এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
প্রসঙ্গত,স্থানীয় বাসিন্দা সাদিউর রহমান বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে,ইউপি সদস্য (মেম্বার) জাহাঙ্গীর আলম নিজের সুস্থ পিতা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম ও স্ত্রী পলি আক্তারকে প্রতিবন্ধী দেখিয়ে প্রতিন্ধী ভাতা কার্ড করেছেন। এছাড়াও ওয়ার্ডের আরো প্রায় ২০ জন সুস্থ মানুষকে একইভাবে প্রতিবন্ধীর ভুয়া সনদ দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ,এসব কার্ড করে দিতে প্রত্যেকের কাছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এমনকি একজন প্রকৃত শারীরিক প্রতিবন্ধী দরিদ্র ব্যক্তি সুশীলের কাছ থেকেও ৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। তবে তিনি ৪ হাজার টাকা দেওয়ার পরেও প্রতিবন্ধী সনদ পাননি। অথচ সুস্থ-সবল ব্যক্তিরা নিয়মিত প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগ করছেন।
এদিকে অভিযোগ করার দীর্ঘ প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে এখানো তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, “এমন জঘন্য দুর্নীতির প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও কেন প্রশাসন এখনো নীরব ? তবে কি তদন্ত না করে ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিতে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে,প্রকৃত অক্ষম প্রতিবন্ধী জনগণের প্রাপ্য সুবিধা ছিনিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। তাদের দাবি নতুনভাবে ইস্যু করা সব ভুয়া প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল,আত্মসাতের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা ও এই দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী পলি আক্তার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তারা কোনো ঘুষ নেননি সব নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে।তারা বলেন,প্রতিবন্ধী নির্বাচন করেন ডাক্তার ও সমাজসেবা কর্মকর্তা, তাই এই দায় তাদের।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন খাঁন বলেন, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)লিয়াকত সালমান ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#